ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্মুক্তবিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাউবিরজনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ এ প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশী যে কোনো নাগরিক নামমাত্রফি দিয়ে শিক্ষার সুযোগ পায়। সরকার যখন শিক্ষার বিস্তারে বিভিন্ন কর্মসূচিগ্রহণ করেছে তখন জানা গেল, বাউবির এসএসসি প্রোগ্রামে ৩৪ ভাগ শিক্ষার্থীনতুন করে ঝরে পড়েছে। শিক্ষার মূল স্রোত থেকে শিক্ষার্থীদের বিচ্ছিন্ন হয়েপড়ার অন্যতম কারণ দারিদ্র্য। দেশে দারিদ্র্যের হার যত কমবে, শিক্ষার মূলস্রোত থেকে ঝরে পড়ার হারও কমবে। বাউবির ২০১২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাসেরহার বিগত বছরের তুলনায় ১৫ ভাগ বেশি। এতে বোঝা যায়, যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হলেবাউবির শতভাগ শিক্ষার্থী সাফল্যের সঙ্গে বিভিন্ন কোর্স সমাপ্ত করতে সক্ষমহবে। তবে পাসের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানের দিকেওবিশেষ নজর দিতে হবে। বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাউবির শিক্ষার্থীরাযেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে তারা যে আরও ভালো ফলাফলউপহার দিতে সক্ষম, এটা সহজেই অনুমান করা যায়।ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাউবির জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ এ প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশী যে কোনো নাগরিক নামমাত্র ফি দিয়ে শিক্ষার সুযোগ পায়। সরকার যখন শিক্ষার বিস্তারে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তখন জানা গেল, বাউবির এসএসসি প্রোগ্রামে ৩৪ ভাগ শিক্ষার্থী নতুন করে ঝরে পড়েছে। শিক্ষার মূল স্রোত থেকে শিক্ষার্থীদের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার অন্যতম কারণ দারিদ্র্য। দেশে দারিদ্র্যের হার যত কমবে, শিক্ষার মূল স্রোত থেকে ঝরে পড়ার হারও কমবে। বাউবির ২০১২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার বিগত বছরের তুলনায় ১৫ ভাগ বেশি। এতে বোঝা যায়, যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হলে বাউবির শতভাগ শিক্ষার্থী সাফল্যের সঙ্গে বিভিন্ন কোর্স সমাপ্ত করতে সক্ষম হবে। তবে পাসের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাউবির শিক্ষার্থীরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে তারা যে আরও ভালো ফলাফল উপহার দিতে সক্ষম, এটা সহজেই অনুমান করা যায়।
বাউবির শিক্ষা কার্যক্রম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিস্তৃত না হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এর সুফল থেকে বঞ্চিত থেকে যাবে। এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কোর্সের শিক্ষকদের উচ্চ বেতন প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা হলে তারা নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নেয়ার চেষ্টা করবেন। বাউবি কর্তৃপক্ষ স্বল্পমেয়াদি-দীর্ঘমেয়াদিসহ নানা রকম কোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে যতটা মনোযোগী, মানসম্মত শিক্ষার বিস্তারে ততটা মনোযোগী কিনা এটা স্পষ্ট নয়। শিক্ষার মূলধারায় যেখানে শিক্ষার্থীদের নিবিড় তত্ত্বাবধানের পরও মানসম্মত শিক্ষার লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না, সেখানে দারিদ্র্যসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত শিক্ষার্থীরা দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে কতটা দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন সে প্রশ্ন থেকেই যায়। বাউবির ৩২টি প্রোগ্রামে বর্তমানে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে এ সংখ্যা দশ লাখে উন্নীত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রীর এ পরিকল্পনা তখনই পুরোপুরি সফল বলে বিবেচিত হবে যখন সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার মানও বাড়বে। বাউবিতে অধ্যয়নরত কর্মজীবী শিক্ষার্থীরা দূরশিক্ষণের সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারেন না। তাই যেসব কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়, সেসব কেন্দ্র থেকে যাতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি শিক্ষা গ্রহণের পর্যাপ্ত সুযোগ পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। একসঙ্গে বাউবির সব প্রোগ্রামের মান কাক্সিক্ষত পর্যায়ে উন্নীত করা কঠিন। সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসএসসি ও এইচএসসি প্রোগ্রামের মান বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। - See more at: http://www.jugantor.com/editorial/2014/03/30/82587#sthash.gmK2WZj7.dpuf
ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাউবির জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ এ প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশী যে কোনো নাগরিক নামমাত্র ফি দিয়ে শিক্ষার সুযোগ পায়। সরকার যখন শিক্ষার বিস্তারে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তখন জানা গেল, বাউবির এসএসসি প্রোগ্রামে ৩৪ ভাগ শিক্ষার্থী নতুন করে ঝরে পড়েছে। শিক্ষার মূল স্রোত থেকে শিক্ষার্থীদের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার অন্যতম কারণ দারিদ্র্য। দেশে দারিদ্র্যের হার যত কমবে, শিক্ষার মূল স্রোত থেকে ঝরে পড়ার হারও কমবে। বাউবির ২০১২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার বিগত বছরের তুলনায় ১৫ ভাগ বেশি। এতে বোঝা যায়, যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হলে বাউবির শতভাগ শিক্ষার্থী সাফল্যের সঙ্গে বিভিন্ন কোর্স সমাপ্ত করতে সক্ষম হবে। তবে পাসের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাউবির শিক্ষার্থীরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে তারা যে আরও ভালো ফলাফল উপহার দিতে সক্ষম, এটা সহজেই অনুমান করা যায়।
বাউবির শিক্ষা কার্যক্রম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিস্তৃত না হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এর সুফল থেকে বঞ্চিত থেকে যাবে। এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কোর্সের শিক্ষকদের উচ্চ বেতন প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা হলে তারা নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নেয়ার চেষ্টা করবেন। বাউবি কর্তৃপক্ষ স্বল্পমেয়াদি-দীর্ঘমেয়াদিসহ নানা রকম কোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে যতটা মনোযোগী, মানসম্মত শিক্ষার বিস্তারে ততটা মনোযোগী কিনা এটা স্পষ্ট নয়। শিক্ষার মূলধারায় যেখানে শিক্ষার্থীদের নিবিড় তত্ত্বাবধানের পরও মানসম্মত শিক্ষার লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না, সেখানে দারিদ্র্যসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত শিক্ষার্থীরা দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে কতটা দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন সে প্রশ্ন থেকেই যায়। বাউবির ৩২টি প্রোগ্রামে বর্তমানে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে এ সংখ্যা দশ লাখে উন্নীত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রীর এ পরিকল্পনা তখনই পুরোপুরি সফল বলে বিবেচিত হবে যখন সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার মানও বাড়বে। বাউবিতে অধ্যয়নরত কর্মজীবী শিক্ষার্থীরা দূরশিক্ষণের সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারেন না। তাই যেসব কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়, সেসব কেন্দ্র থেকে যাতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি শিক্ষা গ্রহণের পর্যাপ্ত সুযোগ পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। একসঙ্গে বাউবির সব প্রোগ্রামের মান কাক্সিক্ষত পর্যায়ে উন্নীত করা কঠিন। সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসএসসি ও এইচএসসি প্রোগ্রামের মান বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। - See more at: http://www.jugantor.com/editorial/2014/03/30/82587#sthash.gmK2WZj7.dpuf